জুনাঈদ আল হাবীব, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ সময় মানুষের সবকিছু বদলে দেয়। মানুষ সময়ের কাছে বড্ড অসহায়। সময়ের পরিবর্তনে কাছের মানুষ দূরে চলে যায় আর আপন হয়ে অজানা অপিরিচত কতশত জন। তবুও মানুষকে বেঁচে থাকতে হয় সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে নির্মম জীবন যাপন করছেন নেত্রকোনা সদর উপজেলার মনাং গ্রামের মোহাম্মদ রিটন মিয়া।
এক সময় তার কিছু অভাব ছিলনা, নিজের পরিশ্রমে সংসার জীবনে অন্য ১০ টা পরিবারের মত খুব ভালভাবে চলতে পারতেন। ভ্যানে করে চা পান বিক্রি করতেন পাশাপাশি লেবারের কাজ করতেন। কিন্তু ভাগ্যের কাছে আজ তিনি পরাজিত।
হটাৎ ব্রেইন স্ট্রোকে একেবারে বাকশক্তি হারিয়ে ফেলেন, কথা বলতে পারেন না, হাটতে পারেন না,এখন সব কিছুই করতে হয় অন্যর সহযোগিতায়। লিটন মিয়ার সংসারে তিন তিনটি ছোট্র বাচ্ছা ও মা সহ মোট সদস্য ৬ জন।
স্বামীর চিকিৎসার টাকা জোগাড় করা, বাচ্ছাদের মুখে খাবার তুলে দেয়া ও সংসারের হাল ধরার জন্য স্ত্রী নিজেই মাথায় তুলে নেন পানের ফেরি।বাড়ি বাড়ি ঘুরে পান বিক্রি করতে থাকেন। কিন্তু ভাগ্যে এখানেও তাদের বিপক্ষে চলে যায়।
স্ত্রী হটাৎ অটোরিকশার দুর্ঘটনায় মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়ে ঘরবন্দী হয়ে পড়েন। এমতবস্থায় লিটন মিয়ার চিকিৎসা তো দুরের কথা বাচ্ছাদের খাবার যোগাড় করাটাই তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। ফুটফুটে বাচ্ছাদের ভবিষ্যতে একেবারে অনিশ্চিত হয়ে গেছে।
এই মূহুর্তে লিটন মিয়া ও তার স্ত্রীর জরুরি উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। বাচ্ছাদের পাশে দাঁড়ানো তার পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের একান্ত জরুরি। আমি সমাজের সকল শ্রেনী পেশার মানুষকে লিটন মিয়ার পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করছি।
বিশেষ করে নেত্রকোনার মাননীয় মন্ত্রী মহোদয় জনাব বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু এমপি মহোদয়, ডিসি নেত্রকোনা মহোদয় ও অন্যান্য সকল সামাজিক রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গের সহযোগীতা কামনা করছি।
লিটন মিয়ার পরিবারের পাশে দাড়াতে চাইলে বিকাশ করতে পারেন
০১৭৯৮৫৪৮৫৮৫ (পার্সোনাল বিকাশ) ও এটা উনার পরিবারের নাম্বার।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।